জানেন কত পুরনো এই স্বস্তিক চিহ্ন?


যে কোনও
মঙ্গল অনুষ্ঠানে, মন্দিরে
অনেকেই স্বস্তিক চিহ্ন
আঁকেন। হিটলারের
পতাকাতেও ছিল এই
স্বস্তিকই! জানেক কী কত
পুরনো এই স্বস্তিক চিহ্ন?
আইআইটি খড়গপুরের
গবেষকরা বলছেন, স্বস্তিক
চিহ্ন প্রাক আর্য যুগের।
প্রাক হরপ্পা যুগ থেকে এর
পথ চলা শুরু।
স্বস্তিকা চিহ্ন। ভারতীয়
সংস্কৃতিতে সুখ শান্তি
আর সম্বৃদ্ধির প্রতীক এই
চিহ্ন। কখনও মন্দিরের
গায়ে। কখনও আবার বাড়ির
সামনে আলপনায়। কখনও
আবার বৌদ্ধ বা জৈন
মন্দিরে। যুগ যুগ ধরে
ভারতীয় সংস্কৃতিতে
বারবার ঘুরে ফিরে
এসেছে এই চিহ্নই। অবাক
লাগলেও এই স্বস্তিক
চিহ্নই ছিল হিটলারের
পতাকাতেও।
কিন্তু জানেন কি কত
পুরনো এই স্বস্তিক চিহ্ন?
সে উত্তরের খোঁজেই
মানব সম্পদ উন্নয়ন
মন্ত্রকের উদ্যোগে সন্ধি
কর্মসূচিতে শুরু হয়
গবেষণা। IIT, NIT, যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও
দেশের প্রথম সারির বেশ
কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের
গবেষকদের নিয়ে শুরু হয়
গবেষণা। মূল উদ্যোগটা
ছিল খড়গপুর আইআইটির।
আর এই গবেষণাতেই মেলে
চমকপ্রদ তথ্য।
গবেষকরা দেখলেন, যত
পুরনো ভাবা হয়েছিল,
তার থেকেও অনেক বেশি
প্রাচীন স্বস্তিক।
গবেষকরা বলছেন, ১১
হাজার বছরেরও বেশি
পুরনো এই স্বস্তিক চিহ্ন।
গবেষকদের দাবি, প্রাক
হরপ্পা যুগের সিলে সুগঠিত
জ্যামিতিক গঠনের সন্ধান
মিলেছে। বেদেও
মিলেছে স্বস্তিক চিহ্নের
উল্লেখ। গবেষকদের আরও
দাবি, ঋগ্বেদকে আর্য
সভ্যতার অংশ ধরা হলেও,
তার জন্ম আরও আগে।
প্রাক হরপ্পা যুগ থেকে
শ্রুতির মাধ্যমে তা ভারত
ভূমির সভ্যতায় বহমান। আর
স্বস্তিক ভারত ছাড়িয়ে
ধীরে ধীরে ছড়িয়ে
পড়েছে গোটা দুনিয়ায়।
তাতার মঙ্গোলিয়ার পথ
দিয়ে কামচাটকা হয়ে
ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকায়।
সেখানে মায়া
সভ্যতাতেও স্থান করে
নিয়েছে এই চিহ্ন।
পশ্চিমের পথ দিয়ে
ফিনল্যান্ড,
স্ক্যানডেনেভিয়া হয়ে
ছড়িয়ে পড়েছে
ইউরোপেও। এতো গেল
পুরা কালের কথা। এবার
একটু এগিয়ে আসা যাক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
আধুনিক জার্মানি। আর্য
রক্তের অহঙ্কারের দর্পে
তখন ইতিহাসে উত্থান
অ্যাডলফ হিটলাররে।
ইতিহাসের নৃসংশতম এই
একনায়কও প্রতীক
করেছিলেন এই স্বস্তিক
চিহ্নকেই। মঙ্গলে সেই
অমঙ্গলের ছাপ। হিংসা,
রক্ত আর বর্বতার সাক্ষী
হয়েছে স্বস্তিকও। তবে জয়
হয়েছে শান্তিরই। তামাম
দুনিয়ায় আজও তাই সুখ-
শান্তির প্রতীক এই
স্বস্তিক।